নিজেদের কোম্পানি সিনোভ্যাকের করোনার টিকা তিন থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে চীন।
শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ তথ্য জানান চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানির প্রধান ইয়িন উইডং।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে চীনে গণ টিকাদান কার্যক্রম চলছে। দেশটিতে ৩ জুন পর্যন্ত প্রায় ৭২ কোটি ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে চীনে বর্তমানে যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি শুধু তাদেরকেই করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। তবে এবারে টিকা প্রয়োগের মাত্রা আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানির প্রধান ইয়িন উইডং বলেন, অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের টিকা প্রদান নির্ভর করবে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রস্তুত করা চীনের টিকা প্রয়োগ কৌশলের ওপর। টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়স্করা অগ্রাধিকার পাবে। আর জরুরি প্রয়োজনে কম বয়সীদের এই টিকা দেয়া হবে। চীনের টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিন থেকে ৭ বছর বয়সী শিশুদের উপর সিনোভ্যাকের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে দেখা গেছে সিনোভ্যাক করোনার বিরুদ্ধে যথেষ্ট পরিমাণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম। আর টিকার সবচেয়ে বিরূপ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াটিও খুব মৃদু।
ইয়িন বলেন, তাদের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেয়া শিশুদের টিকার নিয়মিত দুই ডোজ দেয়ার পর তৃতীয় আরেকটি বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে।
ট্রায়ালে দেখা গেছে, টিকা দেয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দেহে দশ গুণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে তা বেড়ে বিশ গুণ হয়েছে। তবে তৃতীয় বুস্টার ডোজ কখন দেয়া উচিত সেটা ঠিক করতে তাদের আরো দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা চালাতে হবে বলেও জানান ইয়িন।
সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানি জানায়, তারা মে মাসের শেষ নাগাদ দেশে-বিদেশে এই টিকার ৬০ কোটিরও বেশি ডোজ সরবরাহ করেছে এবং ৪৩ কোটি ডোজ এরই মধ্যে মানুষকে দেয়া হয়েছে।