1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

খেলাপি ঋণ এখন ৯৫ হাজার কোটিরও বেশি, ব্যাংককে কঠোর হওয়ার পরামর্শ

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১
  • ১৭৯ বার

বিশেষ সুবিধা এবং ছাড় দেয়া হলেও ব্যাংক খাতের ‘প্রধান সমস্যা’ খেলাপি ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমছে না। একবার কমে আসছে তো আবার বেড়ে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, দেশে এখন খেলােপি ঋণের পরিমাণ ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে ভালো চোখে দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের ঋণ আদায়ে শিথিলতা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণে সে সময় শেষে মোট খেলাপি কমেছিল। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ তাদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সব শেষে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৮ কোটি। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। কিন্তু তিন মাস আগেও খেলাপি ঋণের হার ছিল ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

সরকারি ব্যাংক ঋণ বিতরণ করেছে দুই লাখ সাত হাজার ৭৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৪৩ হাজার ৪৫০ টাকা। বেসরকারি ব্যাংক আট লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪৫ হাজার ৯০ কোটি টাকা।

বিশেষায়িত ব্যাংক ৩০ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা বিতরণ করেছে, এর মধ্যে খেলাপি চার হাজার ৮৬ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংক ৫৯ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। তাদের খেলাপি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।

তিন মাস আগে খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৫৯৭ কোটি ২৬ হাজার টাকা কমে ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি ছয় লাখ টাকা ছিল, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।

২০২০ শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৫ কোটি ৫৩ লাখ। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। কিন্তু তিন মাস আগেও খেলাপি ঋণের হার ছিল ৮.৮৮ শতাংশ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, খেলাপি বেড়ে যাওয়ার কয়েকটা কারণ হতে পারে। তার মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এর মধ্যে ট্রান্সপোর্ট বন্ধ ছিল, ব্যবসায়ীদের ভালো ব্যবসা হয়নি। আবার প্যাকেজ আসতে পারে বা বাজেট বাস্তবায়ন ইত্যাদি।

তিনি বলেন, এর আগে খেলাপিদের অনেকেই ঋণ পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নতুন করে প্রণোদনার ঋণ নিতে চাওয়ার ফলে ডাউন পেমেন্ট হিসেবে কিছু টাকা আদায় হয়েছিল। তাছাড়া বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের ঋণ আদায়ে শিথিলতা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সে সময়ে খেলাপি কিছুটা কমেছিল।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এবার খেলাপি বেড়েছে। এখন ব্যাংকগুলোকে আবার কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। ব্যাংকগুলোতে খেলাপি কমাতে হলে অবশ্যই গ্রাহককে একটা মেসেজ দিতে হবে। সেটি হলো ‘নতুন ঋণ পেতে আগের ঋণ পরিশোধ করতে হবে।’ এটা করা না হলে খেলাপি কমানো যাবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog