1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন

ফেসবুক, টুইটার ও গুগলের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মামলা

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১
  • ২০০ বার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার কারণে সেন্সরশিপের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি টুইটার, গুগল ও ফেসবুকের প্রধান নির্বাহীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। এ প্রেক্ষাপটে সেন্সরশিপের অভিযোগে ফেসবুক, গুগল ও টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ট্রাম্প। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ওই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পসমর্থকদের সহিংসতার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে ট্রাম্প স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ রয়েছেন। চেষ্টা করেও তিনি এ প্ল্যাটফর্মগুলো পুনরুদ্ধার করতে পারেননি। পরবর্তীতে নতুন ‘কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্ম’ ও বিকল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে মামলার মধ্য দিয়ে ‘বাকস্বাধীনতার চরম উৎকর্ষ’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার ওপর আরোপিত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বাতিলের দাবি করছি। আমার সম্পর্কে প্ল্যাটফর্মগুলো প্রতিনিয়ত ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।’ ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এই প্ল্যাটফর্মগুলো সাবেক একজন প্রেসিডেন্টকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে পারলে যে কোনো কিছুই তাদের মাধ্যমে সম্ভব। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার হারানো অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হোক- এটিই দাবি করছি।’

বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া : সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষিদ্ধ হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বনেতাদের বড় একটি অংশের সহানুভূতি লাভ করেছেন। ফেসবুক, টুইটারসহ একাধিক প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হওয়াকে ভালোভাবে দেখেননি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মরকেল। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পকে গণহারে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিষিদ্ধ করা একটি সমস্যা।’ অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, ট্রাম্পকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে বাকস্বাধীনতা দমন করা হয়েছে।

রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সাই নাভালনি বলেন, টুইটারে ট্রাম্পের স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া টুইটার সব স্তরের মানুষের কাছে সমাদৃত হয়ে আসছে এবং সেখানে গণতন্ত্রের চর্চা হয়ে থাকে। কিন্তু রাশিয়া ও চীনে টুইটারের মতো অসংখ্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো এসব দেশের সরকারের সঙ্গে সখ্যতা রাখে।

ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের পর শেয়ারবাজারে স্মরণকালের মধ্যে বড় দরপতন হয়েছে টুইটারের। রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে প্ল্যাটফর্মটির ৭ শতাংশ শেয়ারের দর কমেছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog