ঢাকা : অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুইটিতে জিতে এগিয়ে রিয়াদ বাহিনী। এর আগে চারবার মুখোমুখি হলও শোচনীয় হার দেখেছে বাংলাদেশ। তবে গত দুই ম্যাচে নতুন ইতিহাস লেখার ইঙ্গিত দিয়েছে মাহমুদউল্লাহরা।
যদুও এ সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে গোনায় ধরেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। প্রথম সারির পাঁচ ক্রিকেটার আসেননি। এরপর বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এক ঝাঁক অদ্ভূত শর্ত। আর সেই শর্তের বলি হয়েছেন জাতীয় দলের অন্যতম দুই সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।
অস্ট্রেলিয়ার বেঁধে দেওয়ার কোয়ারেন্টিনের সময়সীমায় ব্যর্থ হওয়ায় সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন মুশফিক। অথচ খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলেন মি. ডিপেন্ডেবল। ১০দিন আগে কোয়ারেন্টিনে যেতেও আবেদন করেছিলেন। কিন্ত মন গলেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। বাধ্য হয়েই দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে মুশফিককে।
মুশফিকের অনুপস্থিতিতে কিপিংয়ে নিতে হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে। কিন্তু কোয়ারেন্টিন শর্তের মারপ্যাচে মুশফিককে আটকে রেখে কোনো লাভই হলো না অস্ট্রেলিয়ার। তার বদলিতে সুযোগ পাওয়া সোহানে কুপোকাত হয়েছে টিম অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেটে ১২১ রান তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে নুরুল হাসান ও আফিফ হোসেনের ৪৪ বলে ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি জয় এনে দেয়। ২১ বলে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন সোহান।
বিষয়টি সামনে এনে অস্ট্রেলিয় খেলোয়াড়দের একহাত নিয়েছে দেশটির বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।
সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘নুরুল উইকেটকিপিং করছে কারণ এ পজিশনে বাংলাদেশের প্রথম পছন্দ মুশফিকুর রহিমকে জৈব সুরক্ষাবলয়ে ঢুকতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। কারণ বাবা-মা কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় জিম্বাবুয়ে থেকে তিনি আগেই দেশে ফিরে যান। অস্ট্রেলিয়ার বিকল্প খেলোয়াড়েরা যেখানে ব্যর্থ, সেখানে বাংলাদেশের বিকল্প খেলোয়াড়েরা সামনে থেকে লড়েছেন।’