সম্প্রতি এক ভূমিকম্প পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার কিছু মুহূর্ত পূর্বেই তাদের এন্ড্রয়েড ফোনে ভূমিকম্পের খবর পেয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো কিভাবে এন্ড্রয়েড ফোনে ভূমিকম্পের নোটিফিকেশন আসে, চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
Android Earthquake Alerts System হলো এন্ড্রয়েড ফোনের একটি ফিচার যা ভূমিকম্পের কিছু সেকেন্ড আগে এলার্ট পাঠায় যাতে নিরাপদ স্থানে সরে আসা সম্ভব হয়। যদিওবা এখনো পর্যন্ত ভূমিকম্পকে আগে থেকে অনুমান করার প্রযুক্তি তৈরী হয়নি, তবে কিভাবে গুগল এই সেবা প্রদান করছে? জানবো ঠিক সেটাই।
প্রথমেই বলে রাখি এই সেবা কিন্তু আগে থেকেই ভুমিকম্প অনুমান করতে পারেনা, এই ধরনের প্রযুক্তিগত উন্নতি এখনো অর্জন সম্ভব হয়নি। তবে এই ফিচারের কল্যাণে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য অন্তত কয়েক সেকেন্ড সময় পাওয়া যায়।
যদিওবা গুগল এর ভূমিকম্প এলার্ট দেয়ার সেবা গ্লোবালি এভেইলএবেল রয়েছে, কিন্তু এই ফিচার সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করে ক্যালিফোর্নিয়া, অরিগন ও ওয়াশিংটন এর মত যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটগুলোতে। মূলত অনেকগুলো সিসমোমিটার একসাথে কাজ করে এই ডাটা প্রদান করে। এন্ড্রয়েড ফোনে থাকা বিল্ট-ইন একসেলেরোমিটার ব্যবহার করে ভুমিকম্পের ঝাঁকি (শেইক) শুরুর কিছু মুহূর্ত পূর্বে সিসমিক একটিভিটি ডিটেক্ট করার চেষ্টা করে।
এন্ড্রয়েড ফোনে থাকা একসেলেরোমিটার বিভিন্ন এলাকায় যেখানে ডেডিকেটেড সিসমোমিটার সিস্টেম নেই সেখানে ভুমিকম্পের নোটিফিকেশন চালু করে দেয়। এই সেন্সরগুলো গুগল এর ভূমিকম্প ডিটেকশন সার্ভারে ভুমিকম্পের আনুমানিক স্থান ও মাত্রাসহহ সিগনাল পাঠায়। এরপর এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীগণ এই ব্যাপারে নোটিফিকেশন পান।
প্রযুক্তিগত উন্নতি আমাদের নিরাপত্তা প্রদানে অধিক থেকে অধিকতর সহায়ক হয়ে উঠছে যার প্রমাণ গুগল এর ভুমিকম্প ডিটেকশন সেবা ও অ্যাপল এর ক্র্যাশ ডিটেকশন সেবার মত প্রযুক্তিগুলো। সিসমোমিটার সিস্টেম তৈরী ও ইউটিলাইজ করার বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে, তাই এন্ড্রয়েড ফোনেই থাকা মিনিয়েচার সিসমোমিটার ব্যবহার করা উত্তম।
এই ভুমিকম্প অনুমানকারী ফিচারটি ঠিকভাবে কাজ করতে একজন ব্যাক্তির অবশ্যই সিসমিক একটিভিটির কাছাকাছি থাকতে হবে। গুগল এই প্রযুক্তিকে উন্নত করেই চলেছে যা ভবিষ্যতে অধিক সঠিক ডাটা ও এলার্ট প্রদান করবে বলে আশা করা যায়।