গত দুই বছর পর সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিরত গ্রাম পানমুনজমের ‘পিস হাউসে’ এই প্রথম আলোচনায় বসল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।
শীতকালীন অলিম্পিক নিয়ে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। এতে দুই কোরিয়ার পাঁচজন করে প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই আলোচনায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। তবে আলোচনা শেষে দুই দেশের প্রতিনিধিদল আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তকোরীয় পুনঃএকত্রীকরণ মন্ত্রী চো মুং সিউলের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা উত্তর কোরিয়ার অলিম্পিকে অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করব, পাশাপাশি এই আলোচনা দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাবে।’
আর উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির স্টেট এজেন্সির চেয়ারম্যান রি সন গন। তিনি বলেন, ‘আজকে দুই কোরিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।’
পারমাণবিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ অর্থনৈতিক প্রকল্প বাতিল করে দক্ষিণ কোরিয়া। এর প্রেক্ষিতে টেলিফোন লাইন কেটে দেওয়াসহ তাদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে উত্তর কোরিয়া।
এ ঘটনার পর থেকেই সিউল ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সম্পর্কে ভাঙন ধরে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে আলোচনার পর থেকেই দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে।