প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সুতা তৈরির কারখানায় মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে কিশোর মো. ইয়ামিনকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মরিচটেক এলাকায় ‘বি আর স্পিনিং’ মিলে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেওয়া হলে ইয়ামিনের মৃত্যু হয়। ইয়ামিন আড়াইহাজার উপজেলার বগাদি এলাকার শাজাহান মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনার পর ইয়ামিনের (১৪) বাবা শাহজাহান বাদী হয়ে মামলা করেন বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁও থানার এসআই আবদুল আলীম। ঘটনার পরপরই আটক ইয়ামিনের সহকর্মী রায়হান ওরফে হৃদয়কে মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে। রায়হান সোনারগাঁও উপজেলার প্রভাকরদী এলাকার নুরুল হকের ছেলে।
এসআই আলীম বলেন, বুধবার দুপুর ২টা থেকে কারখানায় ডিউটি ছিল ইয়ামিনের। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাজ শেষে রায়হান কমপ্রেসার দিয়ে ইয়ামিনের শরীরে লেগে থাকা থাকা তুলা পরিষ্কারের সময় তার পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
“ইয়ামিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয়।” ইয়ামিনের মা রমিজা খাতুন বলেন, “রতে খবর পেয়ে ছেলেকে খুঁজতে কারখানায় গেলে কারকানা কর্তৃপক্ষের কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি, আমার ছেলের কোন খোঁজও দেয়নি।”
“আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।” নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইয়ামিনের সঙ্গে রায়হানের কোনো শত্রুতা ছিল কি নাও তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জুলাই একই কায়দায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জোবেদা স্পিনিং মিলের শ্রমিক সাগর বর্মনকে হত্যা করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি মো.ইসমাইল হোসেন জানান, পায়ুপথে বাতাস দিয়ে সাগরকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা রতন বর্মন বাদী হয়ে কারখানার চার কর্মকর্তার নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। অক্টোবরে তিন আসামির অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন বলে জানান তিনি।