প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দর উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণে একটি চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। চীনের সিনো-হাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ৪৪৮ কোটি ৮৩ লাখ ৯১ হাজার টাকায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণ করে দেবে।
প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপথ বিভাগ আশা করছে, সব ঠিক থাকলে তিন বছরের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান এবং সিনো-হাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট লিও লিওশান বুধবার এই চুক্তিতে সই করেন।
সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নারায়ণগঞ্জের সাংসদ শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান ঢাকার লো মেরিডিয়ান হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল ও সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলমেন্ট যৌথভাবে এ প্রকল্পের অর্থায়ন করবে।
মোট ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুর মূল স্প্যান হবে ৯০ মিটারের। সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য হবে ২ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। আর সেতু নির্মাণে ৫০০ মিটার নদী শাসন করতে হবে।
নতুন এ সেতু নির্মাণ হলে নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দর উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-মাওয়া জাতীয় সড়কের সঙ্গেও বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
সড়ক ও জনপথের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা আশা করছি, সিনো-হাইড্রো চুক্তি অনুযায়ী যথা সময়ে সেতুটি নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেবে।”
সিনো-হাইড্রোর ভাইস প্রেসিডেন্ট লিও লিওশান বলেন, “সুনামের সঙ্গে আমরা বাংলোদেশের অবকাঠামো নির্মাণে সহযোগিতা করছি। বর্তমানে পদ্মাসেতুসহ পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্প সিনো-হাইড্রো বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পটিও চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে বুঝিয়ে দিতে পারব বলে আশা করছি আমরা।”
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “এ প্রকল্পটি আসলে পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট থেকে এসেছে। বন্দরের প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান এ প্রকল্পটির জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। তিনি আমার কাছে এ সেতুর জন্য অনেকবার এসেছিলেন। আজ আমি তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।”
সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট থেকে এ সেতুর জন্য ঋণ সহায়তা আনার ক্ষেত্রেও নাসিম ওসমানের ভূমিকা ছিল বলে জানান মন্ত্রী।