প্রতিবেদক : পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আদালত খারিজ করে দেওয়ার পর এখন বিশ্বব্যাংকের জবাব প্রত্যাশা করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আলোচিত এই প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলার পর সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রিত্ব হারানোর পর ওই দায়িত্বে আসেন ওবায়দুল কাদের।
তিন বছর আগে বিশ্ব ব্যাংককে বাদ দেওয়ার পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছে। ওবায়দুল কাদেরের অধীন সেতু বিভাগ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
কানাডীয় কোম্পানি এসএনসি লাভালিনকে পরামর্শক হিসেবে প্রকল্পে কাজ দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ লেনদের ষড়যন্ত্রের একটি অভিযোগ তখন তুলেছিল বিশ্ব ব্যাংক, যা গালগল্প বলে উড়িয়ে দিয়ে গত শুক্রবার রায় দিয়েছে দেশটির আদালত।
এরপর আওয়ামী লীগ নেতাসহ সরকারের মন্ত্রীরা বিশ্ব ব্যাংককে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন।
তার ধারাবাহিকতায় সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিশ্ব ব্যাংক এখন কী বলে দেখি, বিশ্ব ব্যাংকের জবাবের অপেক্ষায় আছি।”
তিনি বলেন, “কত অপমান, কত অসম্মান! দুর্নীতির অভিযোগ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে ছিলাম।
“অনেকে টিটকিরি করেছে, বিদ্রুপ করেছে। আবার কিছু কিছু পত্রিকায় সমালোচনাও করেছে। বাদ যায়নি টিভিতে সুশীলদের কথাও।
“আজ প্রমাণিত হয়েছে সেই পদ্মা সেতু স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল। আঠারো (২০১৮) সালের শেষের দিকে একই রকম স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে শেষ হবে।”
বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে এখন সম্মান নিয়ে ফিরেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বাঙালি বীরের জাতি, চোরের জাতি না।”
রাজধানীর খামার বাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ‘কৃষিবিদ দিবসে’র অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলেন সেতুমন্ত্রী কাদের।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সভাপতি এ এম এম সালেহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স।