আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রীসভায় শ্রমমন্ত্রীর পদে মনোনয়ন পেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু পুজডার। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন অ্যান্ড্রু পুজডার।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার মনোনয়ন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন পুজডার। তার এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য আরেকটি বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে পুজডার বলেন, সতর্ক বিবেচনা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর শ্রমমন্ত্রী পদের মনোনয়ন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করছেন তিনি।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপারে দীর্ঘ-বিলম্বিত শুনানির প্রাক্কালে পুজডার তার নাম প্রত্যাহার করলেন।
শ্রমমন্ত্রী পদে পুজডার সিনেটের অনুমোদন পাবেন না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এই আশঙ্কা থেকে তিনি তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে থাকতে পারেন।
গৃহপরিচারক হিসেবে একজন অবৈধ অভিবাসীকে নিয়োগ দেওয়ার কথা স্বীকার করার পর পুজডার একাধিক রিপাবলিকান সিনেটরের সমর্থন হারান।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে বিরূপ মনোভাব পোষণের জন্য পুজডার আলোচিত।
একটি ফাস্ট ফুড কোম্পানির সিইও পুজডার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর বিরোধী। পুজডারের কোম্পানির বিরুদ্ধে কর্মচারী ঠকানোরও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তার রেস্তোরাঁর কর্মী ও নারীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেও সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য ট্রাম্পের বাছাই করা ব্যক্তিদের মধ্যে পুজডারই প্রথম ব্যক্তি, যিনি সিনেটের অনুমোদন পাওয়ার আগেই সরে গেলেন। এ নিয়ে মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার ঝড় বইছে।
রয়টার্স ও বিবিসি অবলম্বনে