প্রতিবেদক: আদালতের রায় অমান্য করে পরিবহন ধর্মঘট অযৌক্তিক এবং এতে শুধু জনগণের ভোগান্তি বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক-মিশুকের মৃত্যুর দায়ে বাসচালকের সাজার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির ডাকে রবিবার সকাল ছয়টা থেকে খুলনার ১০ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
ওই মামলায় গাড়ি চালক জামিরের মুক্তির দাবিতে রায় ঘোষণার দিন থেকেই চুয়াডাঙ্গায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। রবিবার থেকে আরো যে ৯ জেলায় ধর্মঘট শুরু হলো। সেই জেলাগুলো হলো খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া।
ধর্মঘট বিষয়ে কমিটির সভাপতি আজিজুল আলম বলেন, সকাল ছয়টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার কোথাও থেকে যাত্রী বা পণ্যবাহী কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি। তবে বিভাগের বাইরে থাকা পরিবহন প্রবেশ করতে পারছে।
একটি পরিবহন কোম্পানির কাউন্টার ইনচার্জ জসিম উদ্দিন বলেন, ঢাকার উদ্দেশে তাদের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি তবে যেসব যাত্রীরা টিকিট কেটে ছিলেন, তারা টাকা ফেরত নিয়েছেন।
পরিবহন ধর্মঘটে কোনো গাড়ী না চলার কারণে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় বুধবার চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের বাসচালক জামির হোসেনকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এই রায়ের প্রতিবাদেই ধর্মঘট ডাকা হয়।