সফররত সৌদি আরবের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল-আইশ বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তারা এ বিষয়ে একমত হন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, প্রতিরক্ষা ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার ওপরও বৈঠকে আলোচনা হয়।
সৌদি মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সফর বিনিময়ের কথা বলেন।
ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের দুই পবিত্র মসজিদের সুরক্ষায় বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, মক্কার মসজিদ-আল হারাম এবং মদিনার মসজিদ-ই-নববী সুরক্ষায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
সৌদি আরবকে বাংলাদেশের ‘ভালো বন্ধু’ হিসেবেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মাইন অপসারণ এবং সামরিক ব্যারাক, এয়ারফিল্ড ও বাঙ্কার নির্মাণের মতো প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর উন্নয়নে অংশ নিতে সৌদি আরবের অনুরোধটি তার সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
নিজ দেশের সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়ে মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল-আইশ আলোকপাত করলে শেখ হাসিনা বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের একাডেমি থেকে সৌদি সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রশিক্ষণ নিতে পারে।
সৌদি উপমন্ত্রী তার দেশের বিমান বাহিনীর উন্নয়নে বাংলাদেশের কাছ থেকে কারিগরি সহযোগিতা নেওয়ার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পার্বত্য অঞ্চলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সড়ক ও সেতু নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে।
বৈঠকে শেখ হাসিনা সফররত মন্ত্রীর মাধ্যমে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মাসিহ এবং বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ এইচ এম মুতাইরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।