বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের নবম ব্যাচের ছাত্রী নিশা গত দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সোমবার ভোরে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান। তিনি বলেন, নিশার শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
গত ২৩ অগাস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ‘প্রশান্তি’ ছাত্রী নিবাসে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটলে দগ্ধ হন নিশা। সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘উচ্চ ক্ষমতার তরল বিস্ফোরক’ থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তাদের ধারণা।
কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সহিদুল বাশার পরে বিস্ফোরণের ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানায় একটি মামলা করেন, যাতে নিশাসহ তিন ছাত্রীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।নিশা ছাড়া বাকি দুজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের ছাত্রী নূর নাহার ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অষ্টম ব্যাচের ছাত্রী মর্জিনা আক্তার।
নিশাসহ তিনজনই জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রী সংগঠন ইসলামী ছাত্রীসংস্থার সঙ্গে জড়িত এবং তাদের ঘরে সংগঠনের বইপত্র পাওয়া গেছে বলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন সে সময় জানিয়েছিলেন।
সে সময় তিনি বলেছিলেন, “ধারণা করা হচ্ছে নিশা কোনো হাই এক্সপ্লোসিভ দিয়ে কিছু একটা করছিলেন। তার কক্ষে বিস্ফোরণের পর পাশের কক্ষেও বিস্ফোরণ ঘটে।”