আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পারিবারিক কারন দেখিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কি। ৮ বছর দায়িত্ব পালনের পর সোমবার হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
নিজেকে ও পরিবারকে সময় দেওয়াসহ পদত্যাগের বিভিন্ন কারন দেখিয়ে তিনি বলেন, এটাই অবসর নেওয়ার উপযুক্ত সময়। ‘আমি জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তটি নিয়েছি। আমি জানি না ভবিষ্যতে কী করব।’ তিনি আরও বলেন, নিজেকে তিনি কখনো পেশাদার রাজনীতিবিদ মনে করেন না। একসঙ্গে দল ও দেশের নেতা হওয়া বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্প্রতি আট বছর ও মধ্য-ডানপন্থী ন্যাশনাল পার্টির নেতা হিসেবে ১০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করেছেন জন কি।আগামী সপ্তাহে জানা যাবে, নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পছন্দসই নাম হতে পারে উপপ্রধানমন্ত্রী বিল ইংলিশ।
জন কি জানান, স্ত্রী ব্রোনা, দুই সন্তান স্টাফেন ও ম্যাক্সের সঙ্গে আগের মতো আরও বেশি সময় কাটাবেন। নিজেকে ও পরিবারকে বেশি সময় দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে অন্য আরও কারণ আছে। নিজের ও দলের জন্য চলে যাওয়ার এটিই সেরা সময় বলে মন্তব্য করেন কি।
২০০২ সালে পার্লামেন্টে ঢোকেন জন কি। চার বছর পরে ন্যাশনাল পার্টির নেতৃত্বে আসেন। ২০০৮ সালে নয় বছরের লেবার পার্টির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় তিনি শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। ওই ভূমিকম্পে ১৮৫ জনের প্রাণহানি হয়। বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার সময়েও তিনি অর্থনীতিকে সচল রেখেছিলেন।