1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন

জীবনযাপন খরচ বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ২৬৯ বার

প্রতিবেদক : সদ্য বিদায়ী ২০১৬ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় আগের চেয়ে বেড়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের একজন নাগরিককে জীবন যাপন করতে আগের বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি খরচ করতে হয়েছে। ২০১৫ সালেও আগের বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি খরচ করতে হয়েছিল।

মূলত চাল-ডাল, মাছ-মাংসসহ ভোগ্যপণ্য, যাতায়াত, শিক্ষা, বস্ত্রসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণেই জীবনধারণে খরচ বেড়েছে। বিদায়ী বছরে ঢাকা শহরে বাসা ভাড়াও বেড়েছে গড়ে ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিদায়ী বছরের বিভিন্ন পণ্যের দাম ওঠানামা পর্যালোচনা করে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ কথা বলেছে। ক্যাব ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা ও অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে। গতকাল রোববার এ প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে ক্যাব। প্রতিবারের মতো এবারও জীবনযাত্রা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করল ক্যাব।
ক্যাব বলেছে, কয়েকটি পণ্য ছাড়া বিদায়ী বছরে পণ্যমূল্য অনেকাংশেই স্থিতিশীল ছিল। ঢাকা শহরের ১৫টি বাজার ও বিভিন্ন সেবার মধ্যে ১১৪টি খাদ্যপণ্য, ২২টি নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী এবং ১৪টি সেবার তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে।

দাম বেড়েছে
ক্যাবের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে সব ধরনের চাল-ডালের দাম বেড়েছে। চালের দাম বেড়েছে গড়ে ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে ডালের দাম বেড়েছে গড়ে প্রায় ১০ শতাংশ। গত বছর সবচেয়ে বেশি ৭২ শতাংশ দাম বেড়েছে আমদানি করা রসুনের। দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। এ ছাড়া যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে সেগুলোর মধ্যে চিনি ৪৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, লবণে ৩৭ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং চা পাতায় ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ। প্রতি লিটার গরুর দুধে বেড়েছে ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। মাংসের দাম গড়ে বেড়েছে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
দাম কমেছে
বিদায়ী বছরে সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজে; ৫০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৩৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ ছাড়া ধনিয়া ৩৮ দশমিক ২০ শতাংশ, কাঁচা মরিচ ২২ দশমিক ৪২ শতাংশ, আমদানি করা আদা ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, দেশি আদা ১৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ, গুঁড়া দুধ ১১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, শাকসবজি ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, কাপড় কাঁচার সাবানে ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ দাম কমেছে। এ ছাড়া ২০১৬ সালে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম কমেছে।
তেল-গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি
২০১৬ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তবে এই মূল্য হার আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যহ্রাসের তুলনায় বেশ কম। ক্যাব আশা করছে, অচিরেই জ্বালানি তেলের দাম আরও কমানো হবে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হবে।
২০১৬ সালে দুই দফায় পানির মূল্য ২২ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে ওয়াসা। ক্যাব মনে করে, এ মূল্যবৃদ্ধির কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই।
যাতায়াত
ক্যাব বলেছে, ২০১৬ সালে গণপরিবহনে নৈরাজ্য পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি। ঢাকায় যানজটের অবনতি হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যহ্রাস এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে সম্প্রসারণ সত্ত্বেও যাত্রী ও মালামাল পরিবহন খরচ কমেনি। বাস-মিনিবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে সারা বছর ভোক্তাদের ভুগতে হয়েছে।
সুপারিশ
প্রতিবেদনে ক্যাবের পক্ষ থেকে ১৩ দফা সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ করা; আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখে অচিরেই পেট্রল, অকটেন, ডিজেল, ফারনেস অয়েল এবং এলপিজি গ্যাসের মূল্য হ্রাস করা; নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ওপর শুল্ক-কর আরোপ না করা; বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা এবং গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণের জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog