প্রতিবেদক : বস্ত্র খাতের আরও একটি কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
একই সভায় ঋণগ্রস্ত ঋণাত্মক বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের লেনদেনের সুবিধার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সুপারিশে বিএসইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, বিনিয়োগকারীদের যে ঋণ হিসাবে ঋণ ও মূলধন সীমা নির্দিষ্ট অঙ্কের নিচে নেমে গিয়েছিল, সেসব হিসাবে শেয়ার লেনদেন করা যায় না। বিএসইসি নিয়মটি শিথিল করায় ঋণাত্মক হিসাবগুলোতে শেয়ার লেনদেনের সুযোগ তৈরি হলো।
বিএসইসি জানিয়েছে, নুরানি ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার নামের কোম্পানিটি আইপিওতে ৪ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ৪৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত টাকায় কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ঋণ পরিশোধ করবে। কোম্পানিটি আইপিও আবেদনের সঙ্গে যে আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তাতে ২০১৬ সালের জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য বা এনএভি (নেট অ্যাসেট ভ্যালু) দেখানো হয়েছে ১৪ টাকা ৩৭ পয়সা। আর পাঁচ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসের গড় দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা।
এ ছাড়া বিএসইসি ২০০ কোটি টাকার ইউএফএস-আইবিবিএল শরিয়াহ ইউনিট ফান্ড নামে নতুন একটি বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের খসড়া বিবরণীপত্র (প্রসপেক্টাস) অনুমোদন করেছে। এ ফান্ডে ২০ কোটি টাকা জোগান দেবে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক। বাকি ১৮০ কোটি টাকা সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে।
বিএসইসির বৃহস্পতিবারের সভায় এক্সিম ব্যাংক ও শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ৪০০ কোটি করে মোট ৮০০ কোটি টাকার আলাদা আলাদা দুটি বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাত বছর মেয়াদি বন্ড দুটি মেয়াদ শেষে অবলুপ্ত হবে। ব্যাংক, বিমা, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ডসহ প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এ বন্ড কেনার সুযোগ পাবেন। দুটি বন্ডেরই প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।