নিউজ ডেস্ক: ‘আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ/ মেকস আ ম্যান, হেলদি ওয়েলদি অ্যান্ড ওয়াইজ’ শিশুকালে শেখা এই চিরন্তণী যেন ম্লান হয়নি একটুও। সকালে ওঠা মানে আপনি অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রইলেন অনেকখানি। ‘সকাল সাতটায় দিন শুরু করা’ আর ‘সকাল দশটায় দিন শুরু করা’ কিন্তু এক কথা নয়।
সকালে না উঠতে পারার কারণ কিন্তু একটাই। সেটা হলো, দেরিতে ঘুমোতে যাওয়া। দেরি করে ঘুমাতে গেলেই পরদিন সকালে ঘুমের দৈর্ঘ্য বাড়তে থাকবে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে কোনটি আপনার জন্য লাভজনক? হিসেব কষে ফেলা দরকার এখনই।
প্রথমেই জানা দরকার, ঘুম একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। ঘুমের একটি পরিপূর্ণ চক্র সম্পন্ন করতে দিতে হয় শরীরকে। তবেই শরীর চাঙা থাকে, অন্যথায় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়ত, অনেক সময় রাত জেগে কাজ বা পড়াশোনা করার কারণে পরদিন সকালে ঘুম ভাঙে না। অথচ গবেষকরা বলছেন, রাতে যে কাজ আপনি চার ঘণ্টায় করেন, সকালবেলা সেটি এক দেড় ঘণ্টায় করা সম্ভব। কারণ রাতের চেয়ে সকালে কাজের মনোযোগ দেওয়া যায় বেশি। তাই রাতে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে অবশ্যই।
তৃতীয়ত, সকালের একটু ঠাণ্ডা হাওয়া শরীরে লাগলে বেড়ে যায় আয়ু। মানুষকে কর্মক্ষম করে তোলে ভোরের হাওয়া।
তবে সকালে ওঠার অভ্যেস রপ্ত করতে একটু সময় লাগে। এজন্য কয়েকটি ব্যাপারে নজর দিতে হয়। যেমন-
ক. সঠিক সময়ে ঘুমিয়ে পড়ার জন্য এক গ্লাস দুধ খান। গরম দুধ ঘুমের দেশে যেতে সাহায্য করে।
খ. প্রতিদিন সকালে প্রার্থনা করতে পারেন। এই প্রক্রিয়াটি মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট রাখে।
গ. সকালের নাস্তা যথাসম্ভব সমৃদ্ধ রাখতে হবে। রাতে সহজে হজম হয় এমন খাবার খান। জাঙ্কফুড একদমই খাবেন না। ঘুম থেকে ওঠার সময় দূর্বলতাজনিত এক ধরনের ক্লান্তি পেয়ে বসে শরীর; সেই ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলুন মুহূর্তের মধ্যে।
ঘ. সকালে ঘুম থেকে উঠতে এলার্ম দিয়ে রাখা যেতে পারে। তবে শরীর যদি দুর্বল থাকে তা হলে এতেও কাজ হয় না। সুতরাং অ্যালার্ম নির্ভরতা থেকে যত দ্রুত বের হয়ে আসা ভালো। সূত্র: জি-নিউজ