প্রতিবেদক: সিলেটের বহুল আলোচিত শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সিলেটের মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো এই রায় দেন।
এর পলাতক অবস্থায় সিলেটের স্থানীয় দৈনিক ‘সিলেটের ডাক’ সম্পাদনা ও প্রকাশনার অভিযোগে করা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আদালত ৬ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
সিলেটে হাজার কোটি টাকার দেবোত্তোর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলের অভিযোগে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গতবছরের ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাই ভারতে পালিয়ে যান। সেই সময় রাগীব আলী সিলেটের ডাক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি এবং তাঁর ছেলে আবদুল হাই সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
পরে আব্দুল হাইকে সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হলেও রাগীব আলী এখনো স্বপদে আছেন।
২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাগীব আলী ও আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন সিলেট নগরীর উপশহরের বাসিন্দা ও ছাতক প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার অভিযোগে রাগীব আলীর ৫৮ বছর ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ২৯ বছরের কারাদন্ডের আবেদন করেন মামলার বাদী। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
এরআগে গত ২ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখল মামলায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আব্দুল হাইয়ের ১৪ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেন একই আদালত।
এদিকে, প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলে করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করা হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই মামলায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলেসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।