প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলা নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ মামলায় নতুন সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ বাতিল করে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করেছিল দুদক।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, রাডার ক্রয়সংক্রান্ত মামলাটি বিচারিক আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে এ মামলায় নুতন করে সাক্ষী নেওয়ার আর কোনও সুযোগ থাকল না।
এরশাদ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলাটি এখন যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি এরশাদের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বাকী সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির বেঞ্চ।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বাকী সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দিয়ে ৩১ মার্চের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার আদালত।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন এই মামলার আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ।
এদিকে মামলার শুরু থেকে মুসা পলাতক রয়েছেন। মামলাটি কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আসে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটি এখন যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষী নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়,এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনে। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।