প্রতিবেদক: মসজিদের ইমামের কাজ মুসল্লিদের নামাজ পড়ানো এবং ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়া। দেশের আইনের পরপন্থী কোনো বয়ান দিতে পারেন না ইমামরা। এছাড়া সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের দায়িত্ব বিষয়ে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ দেয় হাইকোর্ট।
রবিবার ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলার আপিলের রায়ের পর্যবেক্ষণে এ কথা জানায় হাইকোর্ট।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, মসজিদের ইমামের কাজ মুসল্লিদের নামাজ পড়ানো এবং ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়া। তিনি এমন কোনো বয়ান দিতে পারেন না যা দেশের আইনের পরপন্থী। যদি কেউ ইসলাম ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে বিরুপ বক্তব্য দেয় অথবা ফেসবুকে পোস্ট করে তবে তার বিচার প্রচলিত আইনে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারো নেই।
পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়, শরিয়া আইন আমাদের দেশে প্রচলিত কিনা এ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত আছে। এ মামলার আসামি মুফতি জসিম উদ্দিন বাদে বাকি সবাই মেধাবী শিক্ষার্থী উল্লেখ করে হাইকোর্ট জানায়, এই শিক্ষার্থীরা কেন এই পথে গেল তা এ মামলার মাধ্যমে আমরা খুঁজে পাইনি। তবে এ ধরনের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিপদে যাওয়ার জন্য অভিভাবকরাই দায়ী।
এ মামলায় দেখা গেছে, প্রত্যেক আসামির অভিভাবকরা উচ্চ শিক্ষিত ও প্রভাবশালী। আমরা বর্তমান সময়ে নিজেদের লাইফস্টাইল কিভাবে উন্নত করা যায় সেটা নিয়েই ব্যস্ত থাকি কিন্তু আমাদের সন্তানদের মানসিক অবস্থার কথা, তারা কি করতে চায়, কোন বিষয়ে পড়াশোনা করতে চায় সেগুলো না জেনেই মনের বিরুদ্ধে যে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেই।
আদালত মনে করে, এসব বিষয়ে অভিভাবকদের পরেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। দেশের সবাইকে সরকারের পাশাপাশি শিশুশিক্ষা বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। আমাদের পরিবেশ রাজনীতি ধর্মীয় আচার ব্যবহার এবং স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে শিশুকে জানাতে হবে।
মুফতি জসিমউদ্দিন যেখানে খুতবা দিয়েছেন সেখানকার মুসল্লিদের প্রসিকিউশনে না আনায় আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে উচ্চ আদালত জানায়, সবধরনের মামলায় এমন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে যারা নিজেদের কথা চিন্তা না করে দেশের কথা চিন্তা করে।