প্রতিবেদক: পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে ১২ বছর বয়সী খুলনার আলোচিত শিশু রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলে ওমর শরীফ ও মিন্টু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ২৯ মার্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম। তার সঙ্গে রয়েছেন বিলকিস ফাতেমা।
২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর চাঞ্চল্যকর রাকিব হত্যা মামলার রায়সহ নথিপত্র সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আসে। এর আগে ওই বছরের ৮ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
রায়ে তিন আসামির মধ্যে শরীফ মোটর্সের মালিক ওমর শরীফ ও তার দূরসম্পর্কের চাচা মিন্টু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। আর শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেয়া হয়।
মাত্র ১০ কার্যদিবসে এ মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। বিচার বিভাগের জন্য ইতিবাচক হওয়ায় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে মামলাটি। এখন ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হলে দণ্ড কার্যকরের জন্য চূড়ান্ত দিকে যাবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট বিকেলে শহরের টুটপাড়া কবরখানা এলাকায় শরীফ মটরসে কম্প্রেসর মেশিনের সাহায্য ১২ বছরের শিশু রাকিবের মলদ্বার দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পরপরই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শরীফ মটরসের মালিক শরীফ ও মিন্টু মিয়াকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। পরে শরীফের মা বিউটি বেগমকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনার পরদিন নিহত শিশুর বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে তিনজনের নামে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২৫ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কাজী মোস্তাক আহমেদ এজাহারভুক্ত তিন আসামি মোটরসাইকেল গ্যারেজ মালিক ওমর শরীফ, তার কথিত চাচা মিন্টু খান ও শরীফের মা বিউটি বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
৬ সেপ্টেম্বর মহানগর হাকিম আদালত বিচার কাজ শুরুর জন্য মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠান।