ওই ধারা নারী ও শিশু অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সনদের সঙ্গে কেন ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ ঘোষণা করা হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি এ রুল জারি করেন।
আইনসচিব এবং নারী শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ও নারী কেন্দ্র গত ৪ এপ্রিল এই রিট আবেদন করে।
‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ আদালতের নির্দেশনা এবং মা-বাবার সম্মতিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ের সুযোগ রেখে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ জাতীয় সংসদে পাস হয়।
ছেলে ও মেয়ের বিয়ের ন্যূনতম বয়স আগের মতো ২১ ও ১৮ বছর বহাল থাকলেও আইনের ওই বিশেষ বিধানে বলা হয়, “এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারীর সর্বোত্তম স্বার্থে আদালতের নির্দেশনাক্রমে এবং মাতা-পিতার সম্মতিক্রমে বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।”
আদেশের পর মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম বলেন, “আইনের ওই বিশেষ বিধানটি এ আইনের সঙ্গেই সাংঘর্ষিক। তাছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক চুক্তি আছে এবং অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষার করেছে বাংলাদেশ। যেমন সিডো সনদ ১৯৭৯ এবং শিশু অধিকার সনদ ১৯৮৯। এসব চুক্তি ও সনদের প্রতি বাংলাদেশ দায়বদ্ধ।”