বৃহস্পতিবার এই বিএনপি নেতার এক আবেদন শুনে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এই আদেশ দেয়।
আদালতে মওদুদ আহমদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
পরে মুরাদ রেজা সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বলেছে, এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না। পরে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিলের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পরের বছর ৫ মে খালেদা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সালিশী আদালতে পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের সঙ্গে নাইকো দুর্নীতি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মামলা চলছে জানিয়ে মওদুদ গতবছর তার নাইকো মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন করেছিলেন জজ আদালতে।
ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ আদালত গত বছর ১৬ অগাস্ট তা খারিজ করে দিলে তিনি হাই কোর্টে আসেন।
মওদুদের আবেদনের ওপর শুনানি করে হাই কোর্ট গত বছরের ১ ডিসেম্বর মামলার কার্যক্রম আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে।
সেইসঙ্গে নিম্ন আদালতে মওদুদের আবেদন খারিজের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
সেই রুলের নিষ্পত্তি করে ১২ এপ্রিল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চ রিট আবেদনটি মওদুদ মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন।
সাবেক বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফও এ মামলার আসামি।