প্রতিবেদক: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া অন্তবর্তীকালীন জামিন স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর অবকাশকালীন বেঞ্চ তিন দিনের জন্য এ স্থগিতাদেশ দেন।
চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।
পরে মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ জানান, জামিন স্থগিতে রোববার চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করা হয়। এ আবেদনের বিষয়ে এমপি রানার পক্ষের আইনজীবীদের নোটিস পাঠানো হয় এবং টেলিফোনে জানানো হয়। কিন্তু শুনানিতে তারা হাজির হননি। এ অবস্থায় আদালত তিন দিনের জন্য তার জামিন আদেশ স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে ১৮ এপ্রিল একই বেঞ্চে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।
চার দফায় জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এমপি রানাকে এ হত্যা মামলায় অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন। একই সঙ্গে এ মামলায় কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
ওই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রোববার রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন জানায়।
এর আগে গত বছরের ৯ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এমপি রানার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
এছাড়া গত বছরের ২৮ নভেম্বর ও ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ এমপি রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ এমপি রানার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করেন হাইকোর্ট। পরে আবারও হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট তার অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমানুর রহমান রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। বিচারিক আদালতে নাকচের পর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।