নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃত আলোকচিত্রশিল্পী শহিদুল আলম এবং ছাত্রনেতা মারুফ আশাফ সহ সকল শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ নিয়ে যাওয়ার সময় সচিবালয়ের সামনে পুলিশের বাধায় পন্ড হয়ে যায়। সেখানে তারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ নিয়ে আসলে এসময় পুলিশের বাধায় বিক্ষোভ সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। সেটা কোনো ব্যক্তি স্বার্থে নয় দেশের স্বার্থেই করেছিল। কিন্তু সেই ছাত্রদের নামে যে হামলা মামলা হয়েছে তা স্বৈরাচারী আচরণ। এদেশ ১৬ কোটি মানুষের। এটা কোনো কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। এখানে স্বৈরাচারী আচরণ করে কেউ গদিতে থাকতে পারবে না। ছাত্র সমাজ তাদেরকে রুখে দিবে।
তারা বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকলকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ একত্রিত হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।
বক্তারা বলেন, শহিদুল আলম সহ গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দেয়া হলে এমন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে যাতে সরকারের পায়ের নিচে মাটি থাকবে না।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন আগামী (১৭ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশে করার ঘোষণা দেন।
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন এত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, ছাত্র কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক রেজা, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সুদীপ সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।