1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:০০ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর হাটে আসছে গরু, দাম চড়া

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১
  • ১৬৫ বার

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় হাসি ফুটেছে বেপারী ও খামারিদের মুখে। ভালো মুনাফার আশা নিয়ে তারা দলে দলে ঢাকা আসছেন। শনিবার থেকে রাজধানীতে পশুহাট বসার কথা থাকলেও বসতে শুরু করেছে আগেভাগেই। এরই মধ্যে রাজধানীর হাটগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে গরু-মহিষ ও ভেড়া-ছাগল দিয়ে। হাটগুলোতে অবশ্য এখনও ক্রেতা সমাগম শুরু হয়নি। স্বল্প সংখ্যক ক্রেতা এলেও ফিরছেন তারা বেজার মুখে। তাদের সবারই অভিযোগ, গরুর দাম এবার বেশ চড়া।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় রাজধানীতে বৃহস্পতিবার থেকেই ট্রাক ট্রাক পশু আসতে শুরু করেছে। হাটগুলোতে একের পর এক তৈরি হচ্ছে পশুর খোঁয়াড়, তৈরি করা হচ্ছে হাসিলঘর। চলছে জনসচেতনতামূলক মাইকিং। যদিও এসব হাটে স্বাস্থ্যবিধি বলতে গেলে অনুসরণ করাই হচ্ছে না। হাটগুলোর প্রবেশপথে পর্যাপ্ত সাবান-বেসিন স্থাপনের নির্দেশনা থাকলেও তা দেখা যায়নি। একমুখী চলাচলের শর্তও মানছেন না কেউ। পশু বিক্রেতারা বলছেন, হাটগুলোতে ক্রেতা সমাগম শুরু হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একাধিক হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর গরু-ছাগলের। তবে এখনো সেভাবে ক্রেতার দেখা নেই। যারা আসছেন তারা ঘুরে ফিরে চলে যাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, বেপারীরা অনেক চড়া দাম চাইছেন। বেপারীদের দাবি, এবার তারা গ্রাম থেকে বাড়তি দামে গরু কিনেছেন ।তাছাড় পশুখাদ্যের দামও বেড়েছে। তাই গতবারের চেয়ে এবার দাম একটু বেশি।

রাজধানীর, শাহজানপুরম, মেরাদিয়া, বসিলা, গোপীবাগ বালুর মাঠ, দনিয়া কলেজ মাঠ, ধূপখোলা ও পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটে বিক্রেতাদের অলস সময় কাটাতে দেখা যায়।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলী স্থায়ী পশুহাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বছর ঈদের ১০-১৫ দিন আগেই হাটে পশু উপচে পড়লেও এবার গতকাল পর্যন্ত এখানে তেমন চিত্র দেখা যায়নি। হাট পরিচালনা কর্তৃপক্ষ বলছে, হাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পশু আমদানি শুরু হয়েছে। আজকের মধ্যেই হাট পশুতে ভরে উঠবে। তবে আশানুরূপ ক্রেতা নেই। কুষ্টিয়া থেকে আসা ব্যবসায়ী আনসার উদ্দিন বলেন, তিনি ২০টি গরু নিয়ে এসেছেন। এ পর্যন্ত পাঁচটি গরু বিক্রি হয়েছে। ৫০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে।

হাটটিতে ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০-১২ লাখ টাকা দাম হাঁকা গরুও উঠেছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। একটি গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। কিছু ছাগল-মহিষ-ভেড়াও উঠেছে।

রাজধানীতে কোরবানির আরেকটি বড় হাট জমেছে বসিলায়। পুরো হাটজুড়ে সারি সারি গরু মহিষ রাখা হয়েছে। তবে এখনো সেভাবে ক্রেতার দেখা নেই। দু একজন দরদাম জানতে চাইলেও বেপারীদের দাম উল্টো পথে হাঁটা ধরছেন। বেপারীরা বলছেন, গরুর কেনা দাম ও পরিবহন খরচের সঙ্গে সামান্য লাভ যুক্ত করে তারা দাম হাঁকছেন। তবে ক্রেতারা দাম বলছে অর্ধেক। চাহিদা মতো দাম না পেলে গরু বিক্রি করবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন অনেক বেপারী।

বিক্রেতাদের দাবি, এবার তারা গ্রাম থেকে বাড়তি দামে গরু কিনেছেন। ফলে এবারের ঈদে কোরবানির পশু কিনতে একটু বেশি পয়সা গুনতে হবে ক্রেতাদের।

এই হাটে বিক্রির উদ্যেশ্যে ২১টি গরু নিয়ে এসেছেন মোসলেম আলী। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে আসা এ ব্যাপারী জানান, ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা দরে মণ হিসেবে গরু কিনে এনেছেন। যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি। বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে মোসলেম বলেন, কাস্টমার নাই। দুই-একজন আসে। কিন্তু দাম কয় অর্ধেক। দাম না পাইলে বিক্রি করতাম না। দরকার হলে আবার ফিরায় নিয়া যাব।

টাঙ্গাইলের বেপারি মো. হাসেম বলেন, কেনা বেশি হওয়ায় দাম একটু বেশি। আবার খাবারের দামও বেশি।’ সব মিলিয়ে এবার গতবারের চেয়ে গরুতে খরচ বেশি হয়েছে। তাই বেশি দামেই তাদের বিক্রি করতে হবে বলে জানান তিনি।

আপাতত রাজধানীর হাটগুলোতে ক্রেতার আনাগোনা কম হলেও শনিবার থেকে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog