1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১
  • ২১৫ বার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে’ উক্তির কথা স্মরণ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন।’

মঙ্গলবার পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন ও জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গত ২৩ জুলাই ছিল পাবলিক সার্ভিস দিবস, তবে করোনার কারণে এটির আয়োজন আজ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৭৫ সালের ১০ জানুয়ারি জাতীয় পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে দেয়া এক বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সমস্ত সরকারি কর্মচারীকেই আমরা অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন। যাদের অর্থে আমরা আজকে চলছি তাদের যাতে কষ্ট না হয়, সেদিকটায় খেয়াল রাখুন। যারা অন্যায় করবে আপনারা তাদেরকে অবশ্যই কঠোরভাবে দমন করবেন। কিন্তু সাবধান একটা নিরপরাধ মানুষের উপর যেন অত্যাচার না হয়। তাতে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠবে।’

‘আপনারা যদি অত্যাচার করেন শেষ পর্যন্ত আমাকেও আল্লাহর কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে। কারণ আমি আপনাদের নেতা। আমারও সেখানে দায়িত্ব রয়েছে। আপনাদের প্রত্যেকটি কাজের দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত আমার ঘাড়ে চাপে, আমার সহকর্মীদের ঘাড়ে চাপে। এজন্য আপনাদের কাছে আমার আবেদন, অনুরোধ ও আদেশ রইল, আপনারা মানুষের সেবা করুন। মানুষের সেবার মতো শান্তি দুনিয়ার আর কিছুতে হয় না। একটা গরীব যদি আপনাকে হাত তুলে দোয়া করে আল্লাহ সেটা কবুল করে নেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার মানে জনগণের সেবক। সরকারি কর্মকর্তাদের যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়া যায়, কর্মপরিকল্পনা দেয়া যায়, তারা যে অসাধ্য সাধন করতে পারে সেটাই আজকে প্রমাণিত। তাদের মধ্যে যদি আত্মবিশ্বাস তৈরি করে দেয়া যায়, তাহলেই সব কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব। যাদের মাধ্যমে আমরা কাজ করবো, তাদের সঠিক প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজটিও আমরা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরোধ করব আপনারা জনগণের সেবা করুন। আপনারা ভালো কাজ করলে যেমন পুরস্কার পাবেন, আর যদি অন্যায় কাজ করেন তাহলে তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্তা নেয়া হবে।

করোনার টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে করোনার টিকা প্রয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে আমার দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা আনার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা টিকা আনতে থাকব এবং একাধারে দিতে থাকব। তবে সব মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে না আসা পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্য মেনে চলতে আপনার কাজ করে যাবেন।

২৭ তারিখ আমাদের জন্য বিশেষ দিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটি আমার বিশেষ দিন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ, পাকিস্তান দিবস। সেদিন বাংলাদেশের কোথাও পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করেনি। (ধানমন্ডি) ৩২ নম্বরের বাড়িতে আমার বাবা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করলেন। তখন আমি কেবল সন্তানসম্ভবা। আমি সাধারণত বাবার হাত-পায়ের নখ কেটে দিতাম, সেটা আমার নিয়মিত কাজ ছিল। সেদিন একমগ পানি নিয়ে বাবার নখ কাটতে বসলাম। সেদিন বাবা বললেন, হ্যাঁ, ভালোভাবে কেটে দে, কারণ পরে আর সুযোগ পাবি কি-না! তবে তোর ছেলে হবে, সে ছেলে স্বাধীন বাংলাদেশে হবে, তার নাম ‘জয়’ রাখবি।

২৫ মার্চের ভয়াল রাতের ঘটনা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বন্দি অবস্থায় মেডিকেলে জয়ের জন্ম হয়। পরে বাচ্চা নিয়ে কারাগারে আসলে একজন পাকিস্তান সেনা অফিসার জিজ্ঞেস করে তার নাম কী? আমি বলি, জয়। বলে মানে কী? বলি, জয় মানে জয়, ভিক্টরি। তখন এই ছোট্ট শিশুকেও তারা গালি দেয়।

তিনি বলেন, আজ তার (জয়ের) জন্মদিন। ৫০ বছর বয়স হলো জয়ের। এই করোনার কারণে আমরা একসাথে হতে পারলাম না, এটা আরেকটা দুঃখ। আপনারা এই দিনটি স্মরণ করছেন, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আজকে যেই ডিজিটাল বাংলাদেশে আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। এটা জয়েরই ধারণা, জয়েরই চিন্তা। কারণ, ৮১ সালে এসে যখন বার বার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করি। তখন বার বার আমাকে গ্রেপ্তার-গৃহবন্দি করা হয়েছে। তখন বাবার বন্ধু আজিজ সাত্তার কাকা জয় ও পুতুলকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। স্কুল থেকেই জয় কম্পিউটার শিক্ষা নেয়। যখন ছুটিতে আসতো, কম্পিউটার নিয়ে আসতো। জয়ের কাছ থেকেই আমি কম্পিউটার শিখেছি। ৯১ সালে যখন পার্টির জন্য অনেক দামে কম্পিউটার কিনি, তখনই আমরা আলোচনা করি, কীভাবে দেশে কম্পিউটার শিক্ষা শুরু করা যায়।

তিনি বলেন, ৯৬ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি, জয় আমাকে পরামর্শ দিলো কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স তুলতে হবে, দাম সস্তা করতে হবে। মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে হবে, মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাহলেই মানুষ এটা শিখবে। সেভাবেই কিন্তু আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আবার যখন সরকারে আসি, দেখি কেউই এটা ব্যবহার করতো না। আমিই নির্দেশ দেই, সব ফাইল যেন কম্পিউটার কম্পোজ হয়ে আমার কাছে আসে। এখন কিন্তু সে সুফল আমরা ভোগ করছি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog